শহীদ গোবিন্দ সাহা

শহীদ গোবিন্দ ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বটেশ্বর সাহা, মা জোড়া রাণী সাহা। গোবিন্দ নৰম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে যুক্ত হন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নে । মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হবার পর গোবিন্দ উলিপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ে বাণিজ্য শাখায় ভর্তি হন।

১৯৯৩ সালে তিনি কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমান ও এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে উলিপুরের ছাত্র ইউনিয়ন গড়ে তোলে দুর্বার আন্দোলন। কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মূল পদে ছিল ছাত্র ইউনিয়ন নেতা- কর্মীরা। কলেজের ছাত্রদের কাছে ছাত্র ইউনিয়নের গ্রহণযোগ্যতা ছিল অনেক বেশি। এরশাদের অনুসারী ছাত্ররা ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সাথে মিলিতভাবে কলেজে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল। তাই কলেজের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল ছাত্র ইউনিয়ন । ফলে তারা মরিয়া হয়ে উঠে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীকে প্রতিহত করতে। ১৯৯৩ সালের ২/৩ ফেব্রুয়ারি কলেজে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা হামলা চালায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের উপর। সন্ত্রাসীরা এখানেই থেমে থাকেনি ।

৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁর মা জোড়া রাণী সাহা অসুস্থ হয়ে পড়লে ঔষধের জন্য গোবিন্দ উলিপুরের ঔষুধের দোকানে যায়। কিন্তু ঔষধ কিনে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গোবিন্দের উপর নৃশংস হামলা চালায়। অজ্ঞান অবস্থায় উলিপুর হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে । অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি অত্যধিক আঘাতের কারণে মৃত্যুবরণ করেন গোবিন্দ সাহা ।