যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়ন
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ৪৩ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করে চলেছে। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের রয়েছে অগ্রণী ভুমিকা। ২০১৩ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ঘাতক কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। আপসকামিতা ও প্রহসনের এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করে ৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৩ বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজ ও জনগণ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। রচিত হয় নব ইতিহাস। সারাদেশে এমনকি প্রবাসেও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ, সৃষ্টি হয় গণজাগরণের।

গণজাগরণ মঞ্চের দাবির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধিত হয়, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধের দাবিসহ ৬ দফা দাবি ক্রমান্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণের দাবিতে পরিণত হয়।

তারুণ্যের এই আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে, সৃষ্টি হয় গণজোয়ার। ঢাকাসহ সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে সংগঠিত ও জোরালো করে সঠিক ধারায় পরিচালিত করতে ছাত্র ইউনিয়ন পালন করে ঐতিহাসিক ভূমিকা। আন্দোলনের এই ধারাকে অগ্রসর করার মধ্য দিয়ে বেগবান করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের মৌলবাদবিরোধী এবং শোষণহীন সমাজ বিনির্মাণের মুক্তির সংগ্রামকে।